ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের ভেতর যে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন, সেটি ইউক্রেনের সেনারা ছুড়েছে। রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইউক্রেনের সেনারা। সেই ক্ষেপণাস্ত্রই পোল্যান্ডের ভেতর গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের পর বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। তাছাড়া জি-৭ জোট এবং ন্যাটোও জরুরি বৈঠকে বসার ঘোষণা দেয়। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন শুরুতেই জানিয়েছিলেন, তারা প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে ছোড়া হয়নি।

ব্রিফিংয়ে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পোল্যান্ডে বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে ছোড়া হয়েছে, এটি নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো এসেছে কি না? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রাথমিক তথ্যগুলো ভিন্ন কথা বলছে। তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমি এমনটি বলতে চাই না।

তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ দেখে মনে হচ্ছে, এটি রাশিয়া থেকে ছোড়ার সম্ভাবনা কম। তারপরও আমরা দেখবো।

এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার পর রাশিয়াও জানিয়েছিল, তারা পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত না। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে কোনো লক্ষ্যের ওপর আঘাত হানেনি রাশিয়া। এছাড়া পোল্যান্ডে ক্ষয়ক্ষতির যে ছবি দেখানো হচ্ছে ‘এর সঙ্গে রাশিয়ার কোনো কিছু করার নেই।’

তবে পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার দায় সরাসরি রাশিয়ার ওপর চাপিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়াকে দায়ী করে জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, এ বিষয়ে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। আমরা এ নিয়ে বলেছি। সন্ত্রাসবাদ আর শুধুমাত্র ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি ইতোমধ্যে মলদোভায় ছড়িয়েছে। আর আজ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মানুষ নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের মানুষের সমবেদনা নেবেন আপনারা।’